চাঁদপুরের মেঘনায় সারবাহী জাহাজে নৃশংস সাতটি খুনের ঘটনায় একমাত্র বেঁচে থাকা শ্রমিক জুয়েল রানার অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে তিনি কথা বলতে সক্ষম হবেন। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং গলায় ড্রেসিং করা হয়েছে। স্যালাইনের পাশাপাশি তরল খাবারও দেয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকরা আরো জানিয়েছেন, জুয়েলের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তার গলায় লাগানো কৃত্রিম নল খুলে দেয়া হবে, এরপর তিনি ধীরে ধীরে কথা বলতে পারবেন।
এদিকে, ঘটনার তদন্তে পিবিআইয়ের একটি দল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে জুয়েলের স্বজনদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। এর পাশাপাশি কাগজে লিখে জুয়েল জানান, সুস্থ হয়ে উঠলে তিনি পুরো ঘটনা খুলে বলবেন।
গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর), চাঁদপুরের মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে সারবাহী জাহাজে সাত জনকে খুন করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং গুরুতর আহত দুইজনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতদের মধ্যে ছিলেন জাহাজের মাস্টার মো. গোলাম কিবরিয়া (৬৫), তার ভাগিনা শেখ সবুজ (৩৫), সুকানী আমিনুল মুন্সী (৪০), লস্কর মো. মাজেদুল ইসলাম (১৭), সজিবুল ইসলাম (২৬), ইঞ্জিন চালক মো. সালাউদ্দিন মোল্লা (৪০) এবং বাবুর্চি রানা (২০)।
এছাড়া, জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয় রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, ছুরি, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ এবং ৮ হাজার টাকা নগদ। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে এবং পুলিশ এ ঘটনায় আরো আলামত সংগ্রহ করছে।