বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফটো স্টোরি: জাপানিরা বড়দিনকে পালন করে দ্বিতীয় ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে

বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা আজ ক্রিসমাস উদযাপন করবে, তবে জাপানে এই দিনটির অর্থ একটু ভিন্ন। এখানে, বড়দিন একটি ধর্মীয় উৎসব হিসেবে নয়, বরং এটি এক বিশেষ রোমান্টিক দিন হিসেবে উদযাপিত হয়—যেমনটি ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে হয়।

সিএনএন নিউজ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা সংস্কৃতির পারিবারিক সমাবেশের পরিবর্তে, জাপানিরা বড়দিনে নিজেদের প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য নানা রোমান্টিক উদযাপনে মেতে ওঠে। দেশটির তরুণরা এই দিনে জ্বলজ্বলে আলোতে, বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়ে এবং সান্তা ক্লজের উপহার নিয়ে আনন্দিত হয়ে থাকে।

জাপানে একে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র মতো মনে করা হয়, কারণ যুবক-যুবতীরা এখনও তাদের পরিবারকে সম্মান জানিয়ে একসঙ্গে থাকার সংস্কৃতিকে ধরে রাখে। তাই, বড়দিনে রোমান্টিক মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ পায় অনেকেই। বিশেষ করে, রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত শিবুয়া স্কাইয়ের মতো জনপ্রিয় স্থানগুলোতে তরুণরা একে অপরের সাথে সময় কাটিয়ে চলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমিরে সেকিনো বলেন, “আমরা যখন প্রথমবারের মতো ক্রিসমাসে শিবুয়া স্কাইয়ে গিয়েছিলাম, সেখানে জাপানের রাজধানী টোকিওর মনোরম দৃশ্য দেখতে দারুণ ছিল। আর সেটি যদি হয় ক্রিসমাসের সময়, তাহলে তো আর কথাই নেই।”

এছাড়া ১৯ বছর বয়সী ছাত্র আকাও তাকাও বলেন, “বছরটা ছিল অনেক ভালো। বান্ধবী নিয়ে ক্রিসমাস মার্কেটে গিয়েছিলাম, তারপর রেস্টুরেন্টে গরম চকলেট খেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, এটি যেন ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’।”

 

 

অন্যদিকে, টোকিওর আর্ট অ্যাকোয়ারিয়াম মিউজিয়ামে একজন নারী বড়দিনের বিশেষ প্রদর্শনী দেখতে আসেন, যেখানে গোল্ডফিশ ও রঙিন আলো দিয়ে সাজানো ক্রিসমাস ইনস্টলেশন ছিল।

 

জাপানের বড়দিনের উদযাপন পশ্চিমা সংস্কৃতির চেয়ে একটু ভিন্ন, যেখানে পারিবারিক মিলনমেলা বাদ দিয়ে এটি একটি বিশেষ রোমান্টিক দিন হিসেবে উদযাপিত হয়। এই দিনে, জাপানিরা একে অপরকে উপহার দেয়, আলোতে ঝলমলে রাস্তা ধরে হাঁটে, এবং সান্তা ক্লজের সাজে আনন্দ করে।

 

জাপানে, বড়দিন একটি দারুণ উপভোগ্য রোমান্টিক উপলক্ষ হয়ে উঠেছে, যেটি অন্য অনেক দেশের তুলনায় একটু ভিন্ন, কিন্তু অত্যন্ত জনপ্রিয়।

 

আরও পোস্ট