বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো রুশ জাহাজ উরসা মেজর ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজটি ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের কারণে ডুবে যায়, তবে বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। জাহাজটি রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্তোক বন্দর যাচ্ছিল, কিন্তু মাঝ সাগরে বিস্ফোরণ ঘটলে সেটি ডুবে যায়।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ উরসা মেজর নামের এই জাহাজটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পণ্য পৌঁছানোর জন্য মোংলা বন্দরে আসার কথা ছিল, তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এটি মূল মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা “স্পার্টা-৩ এ” নামক জাহাজ, যা নাম এবং রং পরিবর্তন করে নতুন নামে চলাচল করছিল। এই বিষয়টি জানার পর বাংলাদেশ সরকার জাহাজটি ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারতও জাহাজটি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়, এবং এর পর জাহাজটি ভারতীয় জলসীমা ছেড়ে চলে যায়। অবশেষে, রাশিয়া যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের মাঝখানে বিস্ফোরণের শিকার হয়ে এটি ডুবে যায়।
এ ঘটনায় জাহাজটির ১৬ সদস্যের মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের স্পেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে, এখনও দুজন ক্রু সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন।
এই ঘটনা পুরো বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কের পটভূমিতে। জাহাজটির রহস্যজনক দুর্ঘটনা এবং এর সঙ্গে জড়িত নানা বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।