ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ ১৫ বছরের রহস্য এবং আলোচনার অবসান ঘটিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ অবশেষে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশ এবং পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দেহাবশেষ হস্তান্তর করা হয়।
স্বজনদের প্রতিক্রিয়া:
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৫ বছর ধরে আমার পিতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অবশেষে তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন। প্রিয় কানাইঘাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগই আমার বাবার জন্য ন্যায়বিচারের পথ তৈরি করেছে। রাষ্ট্র তার মর্যাদা নিশ্চিত করেছে।
বহুল আলোচিত প্রেক্ষাপট
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার পরিচয় গোপন রেখে সাভারের বিরুলিয়ার একটি মাদরাসার কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নাম ব্যবহার করে দাফন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই লাশের পরিচয় নিয়ে বিতর্ক চলছিল।
সত্য উদঘাটনের লক্ষ্যে চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর তার মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় নিশ্চিত করা হয় যে, লাশটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর।
পরবর্তী পরিকল্পনা
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হারিছ চৌধুরীর চিরনিদ্রার স্থান হবে তার জন্মস্থান কানাইঘাট। সেখানে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে তাকে দাফন করা হবে।
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ এটিকে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকেই এটিকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের একটি সমাপ্তি বলে মনে করছেন।
জানার ইচ্ছা-র পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আরও আপডেট পাঠকদের জানানো হবে। থাকুন আমাদের সঙ্গে।