বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ: অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত্যের প্রয়াস

জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা এবং রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর যমুনা ভবনে এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান। তিনি বলেন আমরা আশাবাদী যে সকল পক্ষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অতি শীঘ্রই সর্বসম্মতভাবে একটি ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। এটি জাতির সামনে উন্মোচন করা হবে যা আমাদের গণতন্ত্র ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক হবে।

শফিকুল আলম আরও উল্লেখ করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল শিক্ষার্থী এবং সমাজের বিভিন্ন পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে এ ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত করা হবে। এতে গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত ঐক্যের ভিত্তি এবং জনগণের ভবিষ্যৎ প্রত্যাশাগুলো স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। এ ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে সেই আন্দোলনের মূল চেতনা ও লক্ষ্যসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে সংরক্ষণ ও প্রচার করা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে এই ঘোষণাপত্র দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হতে পারে। এটি শুধু একটি ঘোষণাপত্র নয়; বরং জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে কাজ করবে।

জাতীয় ঐকমত্যে ভিত্তি করে এ ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ জনগণের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানার ইচ্ছা-র পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত সকল হালনাগাদ তথ্য পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হবে।

আরও পোস্ট