জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা এবং রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর যমুনা ভবনে এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান। তিনি বলেন আমরা আশাবাদী যে সকল পক্ষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অতি শীঘ্রই সর্বসম্মতভাবে একটি ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। এটি জাতির সামনে উন্মোচন করা হবে যা আমাদের গণতন্ত্র ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক হবে।
শফিকুল আলম আরও উল্লেখ করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল শিক্ষার্থী এবং সমাজের বিভিন্ন পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে এ ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত করা হবে। এতে গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত ঐক্যের ভিত্তি এবং জনগণের ভবিষ্যৎ প্রত্যাশাগুলো স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। এ ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে সেই আন্দোলনের মূল চেতনা ও লক্ষ্যসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে সংরক্ষণ ও প্রচার করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই ঘোষণাপত্র দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হতে পারে। এটি শুধু একটি ঘোষণাপত্র নয়; বরং জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে কাজ করবে।
জাতীয় ঐকমত্যে ভিত্তি করে এ ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ জনগণের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানার ইচ্ছা-র পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত সকল হালনাগাদ তথ্য পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হবে।