বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নতুন বছরের শুরুতেই একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) আটটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৬২ জন কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়। এই রদবদল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্যেও পরিচালিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই রদবদলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম খান এনআইডির পরিচালক (অপারেশন্স) হিসেবে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন।
ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীকে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার পদে পদায়ন করা হয়েছে।
এছাড়া ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরীকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
রাঙামাটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম এখন সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিককে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা করা হয়েছে।
এছাড়া নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামকে ইটিআই-এর উপপরিচালক পদে উন্নীত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এই রদবদলের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করা। আঞ্চলিক পর্যায়ে উন্নত সেবা প্রদান এবং গণতন্ত্রের মজবুত ভিত্তি গড়তে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের বড় ধরনের পরিবর্তন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করবে। তবে কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সচেতন নাগরিকরা আশা করছেন এই সাহসী পদক্ষেপ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।
জানার ইচ্ছা সবসময় নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনার মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না!