৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় গ্যাজেটে বাদ পড়া প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এক বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই সভায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ উপস্থিত থাকবে বলে জানিয়েছেন গ্যাজেটবঞ্চিত প্রার্থীরা।
রবিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। গ্যাজেটবঞ্চিত ক্যাডার কাঞ্জিলাল রায় জীবন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরও কয়েকজন প্রার্থী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কাঞ্জিলাল রায় জীবন জানান রবিবার তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় সচিব তাদের দাবির বিষয়ে আন্তরিকভাবে পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন বিসিএস গ্যাজেট প্রকাশের আগে পুলিশ, জেলা প্রশাসন, এনএসআই এবং ডিজেএফআই চারটি সংস্থা ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেবল ‘আপত্তি বা ‘সুপারিশ’ শব্দে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায় যার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, তিন ধরনের অপরাধে অভিযুক্তদের গ্যাজেট থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেগুলো হলো:
১. ফৌজদারি অপরাধ
২. রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড
৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহিষ্কারাদেশ
তবে অন্য অভিযোগে অভিযুক্তদের পুনর্বিবেচনা করে গ্যাজেটভুক্ত করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
গ্যাজেটবঞ্চিত প্রার্থী কাঞ্জিলাল রায় জীবন বলেন, সততা, মেধা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে যারা এই পর্যন্ত পৌঁছেছেন, তারা এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সেবা করার সুযোগ পাবেন। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে আশাবাদী।
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার বিষয়টি নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ অনেকের জন্য আশার আলো নিয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবারের সভায় একটি কার্যকর সিদ্ধান্ত প্রার্থীদের স্বপ্নপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।