যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে ফ্ল্যাট উপহার সংক্রান্ত বিতর্কে কঠিন সময় পার করছেন। কিংস ক্রস এলাকায় প্রায় ৭ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাট উপহার নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তার মন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২০২২ সালে টিউলিপ দাবি করেছিলেন তার বাবা-মা একটি বাড়ি বিক্রির অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। তবে ডেইলি মেইল-এর প্রতিবেদনে লেবার পার্টির একটি সূত্র উল্লেখ করেছে যে ফ্ল্যাটটি আসলে একজন ডেভেলপার তাকে কৃতজ্ঞতার নিদর্শন হিসেবে উপহার দিয়েছিলেন।
ল্যান্ড রেজিস্ট্রির তথ্যমতে টিউলিপ ২০০৪ সালে ফ্ল্যাটটির মালিক হন। তখন তিনি লন্ডনের কিংস কলেজে পড়াশোনা করছিলেন এবং তার উল্লেখযোগ্য আয়ের কোনো উৎস ছিল না।
কনজারভেটিভ পার্টির এমপি বব ব্ল্যাকম্যান টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করে বলেন টিউলিপের ফ্ল্যাট সংক্রান্ত সত্য তথ্য প্রকাশ করতে হবে এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। তা না হলে তার মন্ত্রিত্বে থাকা অনুচিত।
আরেক এমপি ম্যাট ভিকার্স বলেন একজন দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ এবং নৈতিকভাবে আপত্তিকর।
এই বিতর্কের বিষয়ে এখনো সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি টিউলিপ সিদ্দিক। তবে বিষয়টি তাকে রাজনৈতিক ও নৈতিক প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট ইস্যু নিয়ে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়ছে। লেবার পার্টির ভেতরেও এ নিয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের ফ্ল্যাট ইস্যু যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের গুরুত্ব আরও একবার তুলে ধরেছে। মন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে তাকে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে সন্দেহ দূর করতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।