কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকা পড়ে আছেন ২২০ জন বাংলাদেশি যাত্রী। কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকাগামী মালোন্দ এয়ারের ফ্লাইট ওডি ১৬২ ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে কলকাতায় জরুরি অবতরণ করে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পরও যাত্রীদের ঢাকায় ফেরানোর কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি যা যাত্রীদের মানবিক সংকটে ফেলেছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) কুয়ালালামপুর থেকে রাত ১০টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল মালোন্দ এয়ারের ফ্লাইটটি। এক ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা শুরু করলেও ঢাকায় স্থানীয় সময় ভোর ৩টায় পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকায় অবতরণ সম্ভব না হওয়ায় বিমানটি কলকাতায় ফিরে আসে। সেই থেকে যাত্রীরা কলকাতা বিমানবন্দরে আটকা পড়ে আছেন।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন মালোন্দ এয়ার কোনো খাবার, থাকা বা অন্য কোনো পরিষেবা প্রদান করেনি। নারী, শিশু এবং অসুস্থ যাত্রীদের জন্য সামান্য ব্যবস্থা নিলেও বাকিরা ট্রানজিট পয়েন্টেই অবস্থান করছেন। একাধিকবার বিমান সংস্থার স্থানীয় অফিস এবং কুয়ালালামপুর হেড অফিসে যোগাযোগ করেও তারা সমাধান পাননি।
কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা মালোন্দ এয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে, তবে কোনো সাড়া মেলেনি। যাত্রীদের মধ্যে নারী ও শিশুদের মানবিক বিবেচনায় অপেক্ষালয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও বাকিরা এখনও অস্বস্তিকর অবস্থায় রয়েছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত যাত্রীরা বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিলেন। বিমান সংস্থা বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কেউই নিশ্চিত করতে পারেনি, কবে তারা দেশে ফিরতে পারবেন।
মালোন্দ এয়ার জানিয়েছে বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের খাবার এবং অন্যান্য পরিষেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে দেরি হওয়া এবং দায়িত্বহীন আচরণ নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ বাড়ছে।
কলকাতা বিমানবন্দরে আটকে থাকা ২২০ জন বাংলাদেশি যাত্রীর এই অভিজ্ঞতা দায়িত্বশীলতার অভাবে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর প্রতি আস্থা কমিয়ে দিতে পারে। যাত্রীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।