রাজধানীর শহীদ মিনারে গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানার পুলিশ দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃতরা হলেন হিল্লোল এবং শরীফ। সোমবার ভোরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এই হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে শহীদ মিনার এলাকা। আহত ফারুক হাসানকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে, সেখানে উপস্থিত জুলাই আন্দোলনের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা দাবি করেন, দ্রুত অপরাধীদের মুক্তি দিতে হবে এবং দুপুর ১২টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে সন্ধ্যা থেকে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান নেন। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি চলতে থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ টহল দল অভিযান চালায়। অভিযানে অভিযুক্ত হিল্লোল এবং শরীফকে আটক করা হয়। শাহবাগ থানার ওসি জানান, মামলায় নাম থাকা চারজনের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
গ্রেফতারের পর গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা শাহবাগে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা দাবি করেন, গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এসময় আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এদিকে হামলায় অভিযুক্তরা রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে গণ অধিকার পরিষদ দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি দাবি করে।
ফারুক হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে, তবে আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ এবং দাবি নতুন জটিলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই ঘটনা শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনে নয় জনমনে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
জানার ইচ্ছা ঘটনা সম্পর্কিত সঠিক তথ্য সরবরাহে বদ্ধপরিকর। আমাদের সঙ্গেই থাকুন আরও বিস্তারিত আপডেটের জন্য।