বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জাজিরা থানার ভেতরে ওসির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার: আত্মহত্যার প্রাথমিক ধারণা

শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে থানার শয়নকক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পুরো থানায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী ডিউটিরত সদস্যরা প্রথমে মরদেহ দেখতে পায় এবং তৎক্ষণাৎ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। পরে সিআইডির ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

নিহত ওসি আল-আমিনের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদি থানায়। তার পরিবার জানিয়েছে, তিনি গত দুই বছর ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন।

ওসি আল-আমিন গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রায় চার মাস ধরে তিনি এই থানায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তার মৃত্যু নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে পুলিশ ও সিআইডি উভয় সংস্থা তদন্ত চালাচ্ছে।

ওসির পরিবারের দাবি দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ এবং পেশাগত চ্যালেঞ্জের কারণে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জাজিরা থানার সহকর্মীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং এটি পুরো পুলিশ বিভাগকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

ওসির এমন মর্মান্তিক পরিণতি আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য ও পেশাগত চাপের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, এই বিষয়গুলোতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত যে কেউ সাহস করে চিকিৎসা নিন এবং পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি ভাগ করুন। এ ধরনের সমস্যার সমাধানে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

আরও পোস্ট