বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়কদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, উত্তপ্ত সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদকে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে আরেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির বিরুদ্ধে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে জুলাই প্রোক্লেমেশন জারির দাবি জানিয়ে লিফলেট বিতরণের পর চট্টগ্রামের ওয়াসা এলাকায় একটি অফিসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিটিং চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী ছাত্রলীগ-নিয়ন্ত্রিত ডট গ্যাং-এর সদস্যরা হামলা চালিয়ে আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। এতে মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদসহ শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। পরে ছাত্রদলের কর্মীরা সহায়তায় তাদের মুক্ত করে।

রাত সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ। তিনি অভিযোগ করেন হামলার পেছনে সমন্বয়ক রেজাউর রহমান ও রাফি জড়িত। তবে কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত রাফি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে দুই পক্ষের অনুসারীরাই একে অপরকে দোষারোপ করে। রাসেল আহমেদের পক্ষের দাবি, হামলা পরিকল্পিত এবং এর পেছনে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাফি। অন্যদিকে রাফি দাবি করেন তিনি হামলার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন এবং হামলার প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।

দুই পক্ষের বক্তব্যে পুরো পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। উভয় পক্ষই নিজেদের অবস্থান সঠিক প্রমাণে সোচ্চার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের এই বিভক্তি আন্দোলনের গতি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আন্দোলনের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। এ বিষয়ে দ্রুত নিরপেক্ষ সমাধান প্রয়োজন, নাহলে আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ব্যাহত হতে পারে।

চট্টগ্রামের এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং সত্য উদঘাটন করতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে সচেতন মহল।

আরও পোস্ট

জাতীয় খেলাধুলা আন্তর্জাতিক