একসময়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ ও অ্যান্ডি মারে এখন নতুন ভূমিকায়। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মারের কোচিংয়ে দারুণ শুরু করেছেন সার্বিয়ান তারকা জোকোভিচ। মারে-জোকোভিচের এই গুরু-শিষ্য সম্পর্ক টেনিসপ্রেমীদের জন্য এক নতুন চমক।
৩৭ বছর বয়সী অ্যান্ডি মারে যিনি মাত্র প্যারিস অলিম্পিকের পর তার খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করেছেন, এখন নতুন ভূমিকায়। গত নভেম্বরে জোকোভিচ তাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মারের কোচিংয়ে প্রথম ম্যাচেই জয় পান জোকোভিচ যা তাদের এই নতুন সম্পর্কের সাফল্যের সূচনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
মেলবোর্ন পার্কে প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ বছর বয়সী নিশেশ বাসাভারেডির বিপক্ষে প্রথম সেট হারলেও দারুণ প্রত্যাবর্তন করেন জোকোভিচ। টানা তিন সেট জিতে তিনি তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার পরিচয় দেন। মারের কাছ থেকে পাওয়া দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ এই ম্যাচে জোকোভিচের মনোবল বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
জোকোভিচ বলেন তাকে কোচ হিসেবে পাশে পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে খেলেছি। এখন তাকে পাশে পেয়ে দারুণ লাগছে। তিনি ম্যাচ চলাকালীন কিছু অসাধারণ পরামর্শ দিয়েছেন, যা আমাকে খেলায় ফিরতে সাহায্য করেছে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এবার ১১তম শিরোপা জয়ের মিশনে আছেন জোকোভিচ। এই শিরোপা জিতলে তিনি মার্গারেট কোর্টকে ছাড়িয়ে এককভাবে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড করবেন।
মারের কোচিং এবং জোকোভিচের দক্ষতার এই মেলবন্ধন টেনিস বিশ্বে নতুন ইতিহাস গড়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছে। টেনিস ভক্তদের মধ্যে এই জুটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তাদের এই জয়ী যাত্রা কতদূর গড়াবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।