বুধবার, ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: নতুন দিকনির্দেশনা প্রকাশিত

বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের প্রস্তাবনা পেশ করেছে, যা বর্তমান আইনসভার মেয়াদ শেষে কিংবা আইনসভা ভেঙে যাওয়ার পর থেকে শুরু হবে। এই অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং এর মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৯০ দিন। তবে নির্বাচন পূর্বে অনুষ্ঠিত হলে, নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ‘প্রধান উপদেষ্টা’ নামে পরিচিত হবেন। আইনসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ দিন পূর্বে অথবা আইনসভা ভেঙে গেলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা সর্বোচ্চ ১৫ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদের সহায়তায় কাজ করবেন।

প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচন করার প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে, আইনসভার সদস্য হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
যদি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, তবে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিদের মধ্য থেকে যোগ্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
তৃতীয় ধাপে, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের মধ্য থেকে একজনকে মনোনীত করা হবে।

যদি কোনও প্রক্রিয়াতেই প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব না হয়, তাহলে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পেশ করা কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন প্রক্রিয়া এবং দায়িত্বের সময়কাল সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে। এতে আশা করা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতার হস্তান্তর নির্বিঘ্ন হবে।

এই সুপারিশগুলো সংসদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।

আরও পোস্ট

জাতীয় খেলাধুলা আন্তর্জাতিক