আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি নতুন প্রতিবেদন এক shocking দাবি সামনে এনেছে। সংগঠনটির মতে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, এই সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ইলেইন পিয়ার্সনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছে এবং তাদের findings জমা দিয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, তারা যে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছে, তারা নিশ্চিত করেছেন যে, শেখ হাসিনা এবং তার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা গোপন বন্দিশালার ব্যাপারে অবগত ছিলেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজে থেকেই গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের শাসনামলে শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন, যা অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলীয় ক্যাডারদের মতো আচরণ করেছে।
বিশেষত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সহ কিছু বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযুক্ত হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এই অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
এমনকি সংস্থাটি র্যাবের বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে এবং তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত দায়-দায়িত্বের জন্য তদন্ত দাবি করেছে।
এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।