গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ৩৪টি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
নিরপরাধ মানুষজনের ওপর নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করা হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছে মাঘাঝি ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে। এসব এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন।
এছাড়াও, নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষিত আল মাওয়াসি অঞ্চলও হামলা থেকে রেহাই পায়নি। সেখানে শুক্রবার আরও ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে খান ইউনিস ও জাবালিয়া অঞ্চলে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান এই সংঘাতে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়িয়েছে। এই ভয়াবহতা জনজীবনকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
অবিরাম হামলার ফলে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আহতদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া খাবার ও পানির সংকট আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও রাষ্ট্র গাজায় ইসরায়েলের এই নিপীড়নের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। তবে এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
গাজার এই পরিস্থিতি মানবাধিকারের প্রতি চরম অবমাননার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বনেতাদের এগিয়ে এসে এই সংঘাত বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্বের মানুষ এখন তাকিয়ে আছে কীভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজার এই মানবিক বিপর্যয়ের সমাধান করতে পারে। শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে জোরালো প্রচেষ্টা চালানোর সময় এসেছে।