রাজনৈতিক দলগুলো যদি বড় ধরনের সংস্কারের দাবি না তোলে তাহলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে, কোনো পরিবর্তনের দাবি এলে নির্বাচন ছয় মাস পিছিয়ে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শফিকুল আলম বলেন রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য গঠিত ৬টি কমিশন তাদের প্রতিবেদন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমা দেবে। সেই প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন লুটপাট, দুর্নীতি এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িতদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তবে, সরকার মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা করছে না।
তিনি উল্লেখ করেন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক করার জন্য সরকার সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। আমরা আশা করছি একটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের অধীনে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারের ভূমিকা এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত জনমনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
শফিকুল আলম রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে একে অপরের প্রতি সহনশীল আচরণ করতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে প্রেস সচিব আশ্বস্ত করেন।