আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর বার্ষিক চাঁদা জিডিপির দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি এর মাধ্যমে জোটের সামরিক শক্তি আরও সুসংহত হবে এবং সদস্য দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও দায়িত্বশীল হবে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই বক্তব্য দেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বিশ্বজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
ট্রাম্প বলেন ন্যাটোর সদস্যদের কাছ থেকে অন্তত ৫ শতাংশ চাঁদা পাওয়া উচিত। সব দেশই এই অর্থ দেয়ার সক্ষমতা রাখে। যদি আমি কঠোর সিদ্ধান্ত না নিতাম, তাহলে ন্যাটো হয়তো আর টিকে থাকত না।
তিনি আরও দাবি করেন তার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে ন্যাটোর অনেক দেশ চাঁদা পরিশোধ করত না বা সামান্য পরিমাণ দিত। কিন্তু তার শক্ত অবস্থানের কারণেই সেই পরিস্থিতি বদলেছে। ট্রাম্পের ভাষায়, যখন আমি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলাম চাঁদা না দিলে সুরক্ষা দেওয়া হবে না তখনই সদস্য দেশগুলো চাঁদা জমা দিতে শুরু করল।
উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটেও চাঁদার হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন। তবে তিনি পাঁচ শতাংশের মতো উচ্চ হার প্রস্তাব করেননি। ন্যাটোর বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের জিডিপির দুই শতাংশ বার্ষিক চাঁদা হিসেবে প্রদান করে।
বিশ্লেষকদের মতে ট্রাম্পের এই বক্তব্য বিশ্ব কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে। ইউরোপের অনেক দেশ ইতোমধ্যেই অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে। চাঁদা বৃদ্ধির প্রস্তাব তাদের জন্য আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে এই প্রস্তাব মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। একাংশ ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানকে সমর্থন করলেও, অন্যরা মনে করছেন এটি বিশ্ব শান্তির জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।