ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে পৌরসভার গুনবহা তালতলা বাজার এলাকায় সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ হোসেন ও হোটেল মালিক বিল্লাল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সিঙ্গারা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ হোসেনের ছেলে রাহুল ও হোটেল মালিক বিল্লালের মধ্যে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তর্কাতর্কি হয়। রাহুল হোটেল থেকে সিঙ্গারা খেয়ে বিল না দেওয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর রাহুল ও তার সহযোগীরা হোটেলে ভাঙচুর চালান।
ঘটনার পর ফরিদ হোসেন দুই হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব করলেও হোটেল মালিক বিল্লাল বিচার বসানোর দাবি করেন। শুক্রবার সকালে এই বিষয় নিয়ে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন হোটেল মালিকের ভাই ওমর মল্লিক এবং কাউন্সিলরের সমর্থক দুলু শেখের ছেলে রাজা শেখ। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা নাসির মল্লিক অভিযোগ করে বলেন আমার ভাই বিল্লালের সাথে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়।
অন্যদিকে বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ হোসেন বলেন আমার ছেলে বিল্লালের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা পায়। টাকা না দেওয়ার পর ঘটনাটি ঘটে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে আক্রমণ করা হয়নি। বরং নাসির মল্লিকের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
বোয়ালমারী থানার ওসি মো. গোলাম রসুল বলেন পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এখনও কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানার ইচ্ছা মনে করে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির আশঙ্কা রোধে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এমন ঘটনাগুলো প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনের কার্যকর প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।