আজ বিশ্বের প্রান্তে প্রান্তে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করছেন তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব—শুভ বড়দিন। দুই হাজার চব্বিশ বছর আগে, এই দিনে বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট, যিনি পৃথিবীতে শান্তি, ন্যায় এবং সত্যের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, যিশু ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে মানবজাতির কল্যাণে এসেছিলেন।
বড়দিন উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশের চার্চগুলো রূপালী আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে, যেখানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা একত্রিত হয়ে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং প্রার্থনা করছেন। চার্চগুলোর আশপাশে এখন উৎসবের মহল—সাজানো ক্রিসমাস ট্রি, মোমবাতি এবং আনন্দমুখর পরিবেশ সবার মন মাতিয়ে রেখেছে।
বড়দিনের উদযাপন বিশেষ উৎসাহে পূর্ণ করছে দেশের খ্রিস্টান পরিবারগুলো। ঘরেঘরে কেক বানানো, ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, এবং সান্তা ক্লজের উপহার বিতরণে দিনটি আনন্দঘন হয়ে উঠেছে। ছোট ছোট শিশুরা সান্তার কাছ থেকে উপহার পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত।
উৎসবের আনন্দের মাঝেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজধানীর চার্চগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা এবং নজরদারি জোরদার করা হয়েছে, যাতে সবার উৎসব আনন্দ নির্বিঘ্নে পালন করা যায়।
বড়দিনের এই অনুষ্ঠান আমাদের সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতির এক মহান উদাহরণ। সকল ধর্মের মানুষ একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতীয় ঐক্যের বার্তা ছড়াচ্ছে।
জানার ইচ্ছা পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে বড়দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই দিনটি শান্তি, সমৃদ্ধি, এবং সুখের বার্তা নিয়ে আসুক, এবং সকলের জীবন হোক আনন্দে পূর্ণ।