দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করেছে, যা বাংলাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
এই অভিযোগে তদন্ত করছে দুদক, যার মধ্যে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকীও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন যে, তদন্ত শুরু হয়েছে এবং এটি গুরুতর এক পদক্ষেপ।
দুদক জানায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে এই পরিবার সদস্যদের নামে পূর্বাচল প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার মোট ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর দুদক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়।
এছাড়া, সম্প্রতি শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগের বিষয়েও দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল একটি পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করেছে দুদক, যা একই সঙ্গে এসব দুর্নীতির অনুসন্ধান করছে।
তদন্তে ইতোমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, এবং দুদক কর্মকর্তারা আশাবাদী যে, খুব শিগগিরই প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হবে।
এ বিষয়ে দুদক কর্তৃপক্ষ জানান, জনগণের আস্থা অর্জন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এসব অনুসন্ধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।