বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জুলাই বিপ্লব: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে আজ খোলাসা হতে পারে ঘোষণাপত্রের রূপরেখা

আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘জুলাই প্রক্লেইমেশন’ অর্থাৎ জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র। সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে সকাল সাড়ে ১১টায়।

গতকাল (শনিবার) এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই পোস্টগুলোর পরপরই নেটমাধ্যমে শুরু হয় উত্তেজনা এবং নানান জল্পনা-কল্পনা।


কী ঘটতে পারে?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বারবার উল্লেখ করেছেন ৩১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় শহীদ মিনারে এবং এখনই সময়, বাংলাদেশের জন্য। জাতীয় নাগরিক কমিটির ফেসবুক পেইজ থেকে করা একটি পোস্টে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ৩১ ডিসেম্বর জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র উন্মোচন করা হবে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নেটিজেনরা মনে করছেন, এই ঘোষণার মাধ্যমে হয়তো নতুন কোনো রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে। কেউ কেউ আবার বলছেন, এটি ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে নতুন কর্মসূচির সূচনা।


আজকের সংবাদ সম্মেলনের সম্ভাব্য এজেন্ডা

নেতারা আজকের সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই বিপ্লবের’ উদ্দেশ্য, প্রেক্ষাপট এবং ঘোষণাপত্রের রূপরেখা তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কৌশল এবং তাদের দাবিদাওয়া পরিষ্কার হতে পারে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারীর কথায়, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা, এখন বা কখনই নয়। এই বার্তাটি আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা এবং সংকল্পকে স্পষ্ট করেছে।

আমরা জানার ইচ্ছা-র পক্ষ থেকে পাঠকদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আজকের সংবাদ সম্মেলনের সমস্ত তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব। থাকুন আমাদের সঙ্গে।


তথ্যসূত্র: সরাসরি সংবাদ সম্মেলন থেকে পাওয়া তথ্য।

আরও পোস্ট