বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ব্যান্ড মিউজিকের নতুন দিগন্ত: আশিকুজ্জামান টুলুর হাত ধরে আত্মপ্রকাশ যাত্রা

বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের কিংবদন্তি আশিকুজ্জামান টুলু তার নতুন ব্যান্ড ‘যাত্রা’র মাধ্যমে সংগীতের জগতে আবারও আলো ছড়াচ্ছেন। কানাডায় বসবাসরত এই সুরকার, গায়ক ও সংগীত পরিচালক বহুদিন ধরে বাংলা সংগীতপ্রেমীদের কাছে অনুপস্থিত ছিলেন। তবে এবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ব্যান্ড ‘যাত্রা’র হাত ধরে তার সেই শূন্যতা পূরণ হচ্ছে।

যাত্রা ব্যান্ডের সদস্যরা সবাই টুলুর পরিবারের। এতে রয়েছেন টুলুর স্ত্রী টিনা, মেয়ে রদিয়া এবং পুত্র নাওয়ার। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ব্যান্ড গঠন করার পেছনে মজার যুক্তি টুলু নিজেই শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে ব্যান্ড করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ব্যান্ড ভাঙার কোনো ঝুঁকি নেই, আর পেমেন্ট পুরোপুরি ঘরেই থাকে।

যাত্রা’র যাত্রা নতুন হলেও এর শেকড় ২০০৪ সালে। সেই বছর টুলু এবং টিনার ডুয়ো হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল তাদের প্রথম অ্যালবাম দ্বিমাত্রিক। এতে ছিল ইন্ডিয়ান ক্ল্যাসিক্যাল এবং ফিউশনের মেলবন্ধন। দুই দশক পর মেয়ে রদিয়া এবং পুত্র নাওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ব্যান্ড হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে এই পরিবার।

২০ ডিসেম্বর কানাডার টরন্টোর চাইনিজ কালচারাল সেন্টারে যাত্রা তাদের প্রথম একক কনসার্টে অংশ নেয়। জেবিআর প্রোডাকশন আয়োজিত এই কনসার্টের নাম ছিল ‘ডাস্ট ইন দ্য উইন্ড যা কিংবদন্তি রক ব্যান্ড কানসাসের একটি বিখ্যাত গানের নামানুসারে রাখা হয়েছে।

 

কনসার্টে যাত্রা তাদের নিজস্ব গান পরিবেশনের পাশাপাশি টুলুর আগের ব্যান্ড চাইম এবং আর্ক-এর জনপ্রিয় গানগুলোও উপস্থাপন করে। পাশাপাশি কিংবদন্তি শিল্পীদের অনেক স্মরণীয় গান গেয়ে শ্রোতাদের মন ভরিয়ে তোলে।

কনসার্টে উপস্থিত দর্শকরা জানান, এটি ছিল আক্ষরিক অর্থে একটি গান শোনার কনসার্ট। গান পরিবেশনের পাশাপাশি শব্দ এবং আলোর প্রক্ষেপণও ছিল অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। পুরো সময়টা উপভোগ করেছেন শ্রোতারা।

বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের ইতিহাসে আশিকুজ্জামান টুলুর অবদান অনস্বীকার্য। ‘যাত্রা’ তার এই অবদানে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছেন সংগীতপ্রেমীরা। বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিকের ভক্তদের জন্য এটি এক নতুন প্রেরণা এবং প্রত্যাশার সূচনা।

আরও পোস্ট