পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার জাতির প্রতি অপরিহার্য দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই বিচার আমাদের করতেই হবে। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনার সব তথ্য একত্রিত করতে হবে। এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী পুরো দেশ এবং জনগণ ন্যায়ের জন্য অপেক্ষা করছে। শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি তাদের দুঃখ-দুর্দশা গভীর মনোযোগের সঙ্গে শোনেন।
সাক্ষাতের সময় শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানান। পাশাপাশি, তারা ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তাদের ওপর চালানো নিপীড়ন ও হয়রানির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান ন্যায়বিচারের দাবি তোলার কারণে তাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ এবং শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে। সত্য প্রকাশে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সাত সদস্যের একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২৩ ডিসেম্বর এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কমিশনটি ঘটনায় জড়িত সব বিষয় পুনরায় তদন্ত করবে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন আমরা কোনোভাবেই শহীদদের রক্তের প্রতি দায় এড়াতে পারি না। এই বিচার জাতির জন্য ঐতিহাসিক এবং অপরিহার্য।