কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন সারাদেশ থেকে আসা হাজারো শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। সকাল থেকেই রাজধানীর শহীদ মিনারে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হন তারা। দুপুরের পর পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
আন্দোলনকারীদের মুখে মুখে শোনা গেছে বিভিন্ন স্লোগান:
- ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই।
- আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে।
- ভারতীয় আগ্রাসন নিপাত যাক।
- গোলামি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ।
ছাত্র-জনতার হাতে ছিল নানা ধরনের ব্যানার ও ফেস্টুন যেখানে ফুটে উঠেছে তাদের ক্ষোভ এবং দাবি।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন স্বাধীনতার পর থেকে যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছে তারা সংবিধানকে নিজেদের মতো পরিবর্তন করেছে। এই সংবিধান ফ্যাসিজম শেখায় আমরা তা চাই না। ছাত্র-জনতার মতামতের ভিত্তিতে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে যেখানে জনগণই হবে সকল ক্ষমতার উৎস। সংখ্যালঘুদের কোনো ভয় থাকবে না এবং শিক্ষার্থীদের আর রক্ত দিতে হবে না বলেন আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজ শহীদ মিনারে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপে এটি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তারা জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন এই কর্মসূচি কোনো নির্দিষ্ট দলের বিরুদ্ধে নয় বরং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে। তাদের মতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়াই সময়ের দাবি।